আফতাব হোসেন

জন্ম: ২৬, অক্টোবর, ১৯৬২; পিতা: মোঃ আমজাদ হোসেন, মাতা: নুর জাহান বেগম। জন্মস্থান: মালোয়ার, নলছিটি, বরিশাল। পেশায় ডাক্তার। জীবনের তাগিদে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। ইরান, সৌদি আরব ঘুরে শেষে থিতু হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। নিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রি। পেয়েছেন সেখানকার নাগরিকত্ব। অর্জন করেছেন বিত্ত, বৈভব, ঐশ্বর্য। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। কলেজ ম্যাগাজিনে ছোটগল্প দিয়ে আত্মপ্রকাশ। পরবর্তীকালে পেশাগত ব্যস্ততার কারণে সাহিত্যচর্চাটা আর করা হয়ে ওঠেনি। তবে হৃদয়-গহিনে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন সাহিত্যের প্রতি গোপন প্রেম। সেই প্রেমের টানেই স্টেথোস্কোপ ছেড়ে আবার কলম ধরেছেন। কষ্ট কাহন, বনলতা, আবার বনলতা, জীবন সায়াহ্নে, তিতুমীর, ইরানি দাস্তান, ব্রিটিশ নন্দিনী- ইতিমধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের নাম দেখেই বোঝা যায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবাধ বিচরণ তাঁর। কথাসাহিত্যিক আফতাব হোসেন জীবনের গল্প লেখেন। মানুষের গল্প লেখেন। তিনি মানুষের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। তাদের কথা শোনেন। তার লেখায় সেইসব মানুষেরা জীবন্ত হয়ে ওঠে, হাসে, কাঁদে, কথা কয়। পাঠকরা ভালোবেসে নাম দিয়েছে ‘কথার জাদুকর’। বিজ্ঞানের ছাত্র অথচ ইতিহাসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। আজ ভালো লাগে তার। আজ থেকে শত শত বছর আগে, একটা মানুষের জীবনে যত কিছু লেখা আছে, তার চাইতে যা লেখা নেই, সেটা ভাবতেই বেশি ভালো লাগে তার। সেই ভাবনা থেকেই লিখেছিলেন ‘তিতুমীর’। পেয়েছেন সুধীজনের অকুণ্ঠ প্রশংসা। সেই প্রশংসাই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে এবার, লিখতে আর একটি ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস, ‘বখতিয়ার’।

No products were found matching your selection.