শামীম আল আমিন
আরও ভ্রমণ করেছেন শ্রীলংকা, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, জার্মানি, সুইডেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং কানাডা। বাংলাদেশে পত্রিকা, অনলাইন এবং টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেছেন দীর্ঘদিন। সংবাদকর্মী হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। প্রবাসেও কয়েকটি বাংলা ভাষার টেলিভিশন প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। অনুষ্ঠান সঞ্চালক হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। একাত্তর টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর ছিলেন। সরাসরি সম্প্রচারিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘একাত্তর জার্নাল’ সঞ্চালনা করতেন নিয়মিত। মঞ্চের অনুষ্ঠানেও তিনি প্রাণবন্ত; অনেকের প্রিয়। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার। পেয়েছেন জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ স্বর্ণপদক। সাংবাদিকতার জন্যে মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল পুরস্কার, ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাওয়ার্ড, পরিবার পরিকল্পণা সমিতি পুরস্কার, সন্ধানী সেফ ব্লাড অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার লাভ করেছেন। সাংবাদিকতার উপর তার লেখা চারটি বই ‘গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা’, ‘টেলিভিশন সংবাদ ও সাংবাদিকতা’, ‘টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপনা’ এবং ‘টেলিভিশন সাংবাদিকতার সহজ পাঠ’ বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। শামীম আল আমিন পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। ২০০০ সালের এম এস এস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে লাভ করেছেন মসউদ খান স্বর্ণপদক। একই বিভাগ থেকে স্নাতক করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে। বিতার্কিক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সহসভাপতি। সূর্যসেন হল বিতর্ক ক্লাব (সূর্যসেন বিতর্ক ধারা) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। হলটির হয়ে ১৫তম ও ১৬তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। তার লেখা ‘বিতর্কের সরল পাঠ’ এবং ‘বিতর্ক ও বিতার্কিক’ বই দুটি বহুল পঠিত। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটির সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। তার লেখা দুটি বই ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। গল্পগ্রন্থ ‘The Deep Night Sky’ এবং শিশুতোষ গল্পের বই ‘Sulky Arisha and Her Squirrel পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন প্লাটফর্ম অ্যামাজন ডট কমে।
শামীম আল আমিনের জন্ম ১ জানুয়ারি, ঢাকার শান্তিবাগে। এরপর থেকে কৈশোর পর্যন্ত সেখানেই বেড়ে ওঠা। বাবা মুন্সী মুনছুর আহমদ এবং মায়ের নাম মিসেস সালেহা বেগম। তার স্ত্রী কবি, ইয়োগা আর্টিস্ট এবং ফিটনেস এক্সপার্ট আশরাফুন নাহার লিউজা। এই দম্পতির একমাত্র কন্যা অপর্ণা আমিন পড়াশোনা করছে নিউইয়র্কে। এই পৃথিবী থেকে একদিন সব বৈষম্য ও অনাচার দূর হবে, মানুষে মানুষে সম্পর্ক হবে ভালোবাসা আর মমতার বিনিময়ে; এমন দিনের ভাবনায় লিখে চলেন তিনি। ক্লান্তিহীন পথিক তিনি হেঁটেই চলেছেন। থামার সময় যে তার নেই।
No products were found matching your selection.