মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ
ইংরেজি ও বাংলায় তিনি অনলবর্ষী বক্তা ছিলেন। তাঁর হাতে গড়া বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠন হিসেবে ঢাকা ও চিটাগং, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়োজিত রয়েছেন। শিক্ষাবিস্তারে তাঁর পিতার অবদান তোলার শিক্ষিত সমাজের কাছে আজও স্মরণীয় আছেন। সর্বক্ষেত্রে তাঁর পদচারণ ছিল উল্লেখ করার মতো। তৎকালীন ভোলার কৃতি সন্তান আইনমন্ত্রী বিচারপতি আবদুল হাই চৌধুরী মির্জাকালু হাই স্কুল পরিদর্শনে এসে স্কুলের শিক্ষা ও বাহ্যিক পরিবেশ দেখে মির্জাকালু হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান চৌধুরীকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পদকটি তাঁর হাতে তুলে দেন। ভোলা জেলার কোনো শিক্ষক এমন সম্মান অর্জন করতে পারেননি সে সময়। তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার থেকে সবাই একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে তাকে সম্মানের চোখে দেখতেন।
Sort By
-
নিউইয়র্ক থেকে বলছি- মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ
৳ 350.00 Buy productনিউইয়র্ক থেকে বলছি- মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ
নিউইয়র্ক থেকে বলছি প্রিয় পাঠক, শুভেচ্ছা নিন। আপনাদের জন্যেই আমার লেখা। আপনারাই আমার অক্সিজেন। আপনাদের মাঝেই আমি বেঁচে থাকতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমার ভাবনা। এই ভাবা ভাবির ভিতর দিয়ে কখন যে আমরা চলে যাই কেহ তা জানি না। বিশ্বব্যাপি এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। চোখের সামনে মানুষগুলো মরছে অহরহ। প্রবাস জীবনে এসে অনুভব করলাম মাতৃভূমি কি। দেশের জন্য এত ভাবিনি আগে কখনো। গভীর রাতে স্বপ্নে লাফিয়ে ওঠি, আহা! আমার দেশ কই। আমি এখানে কেন? যেখানে আমার মা-বাবা ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুরা, না জানি তারা কেমন আছে এখন। মা’কে কবর দিয়ে এসে দেখেন বাবা নেই। এক রুমে মৃত স্বামী, আরেক রুমে স্ত্রী সন্তান নিয়ে একা একা কাঁদছেন। গিয়ে একটু দেখতেও পারছেন না তিনি। পুলিশ শেষে এসে স্বামীকে প্লাষ্টিক কভারে আটকে রেখেছেন। আমরা সবাই এখন মৃত্যু পথের যাত্রী। কেউ জানে না কার আগে কে যায়। কুকুরের মনিব মারা গেছেন, কুকুর হাসপাতালে ৩ মাস অপেক্ষায় থাকে মনিবের জন্যে। তাকে কিছুতেই সরানো যায় না সেখান থেকে। অনেকে খুশী হয়ে তাকে খাবার দেন। আর ছেলেরা রাস্তায় মাকে জীবিত ফেলে চলে যায়। শেষে মায়াবি পুলিশ মাকে উদ্ধার করে কোলে তুলে নেয়। তাই ভাবছি, করোনা আসবে না কেন? রাস্তা ঘাট দোকান পাট অফিস আদালত সব বন্ধ। মানুষ জন নেই কোথাও। নিউইয়র্ক নগরী যেন এক মৃত্যুপুরী! সেই মৃত্যুপুরীতে আছি আমিও। মৃত্যু যখন কাছাকাছি এসে যায় মানুষ তখন বাঁচতে চায়, বাঁচতে চাই আমিও। এ্যাম্বুলেন্সগুলো দৌড়াচ্ছে হৃদয় বিদীর্ণ করে। সাইরেনের শব্দে কেঁপে উঠছি।
৳ 350.00 -
নীলার ভালোবাসা নিউইয়র্ক- মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ
৳ 300.00 Buy productনীলার ভালোবাসা নিউইয়র্ক- মোসাদ্দেক চৌধুরী আবেদ
এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে কেহই চির অমর নয়। মহান আল্লাহর বেঁধে দেয়া একটা নির্দিষ্ট আয়ু নিয়ে আমাদের সকলেরই পৃথিবীতে ক্ষণীকের ত্বরে আগমন। ক্ষণস্কালের এই আয় নিয়ে আমাদের সকলের জীবনই একই সমান্তরাল রেখায় প্রবাহিত হয়না। এই পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষকেই অনেক সংগ্রাম করে কষ্ট করে জীবন নির্বাহ করতে হয়। তাদের জীবনে সুখ চিরকাল অধরাই হয়ে থাকে। প্রকৃত নির্মল সুখ বলতে যা বোঝায় তা শতকরা ২/১ জনের ভাগ্যেই কিঞ্চিত জোটে। অথচ একটুখানি সুখের জন্য মানুষকে কতইনা পরিশ্রম করতে হয়। আলোচ্য ‘নীলার ভালবাসা নিউইয়র্ক’ গল্পের নীলা একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শিক্ষিতা বুদ্ধিমতী তরুণী। তার জীবনটা তো অনেক সুখেই অতিবাহিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, অন্য আর দশজনের মতো তার জীবনেও বারবার নেমে এসেছে, কালিমার অমানিশা। আসলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বদলাবার সাধ্য কারও হাতে থাকে না। উপরওয়ালার ইচ্ছা আর অনেক সময় চারিত্রিক হীনমন্যতা ও নানা লোভ লালসাই আমাদের আলোর পথ থেকে নিকষ কালো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ যা চায়, সেটা সে সহজে পায়না। অথচ যেটা চায়না, সেটাই অবলীলাক্রমে জীবনে এসে যায়। আর এটা নিয়তির নির্মম ও নিষ্ঠুর খেলা। নীলার মা-বাবাও চেয়েছিল, নীলার সারাটি জীবন যেন অনাবিল সুখের আলোয় ভরা থাকে। কিন্তু ভাগ্যের লীলা কি কখনও খণ্ডানো যায়? সহজ উত্তর, ভাগ্যের উপর কারও হাত নেই। তবে নিরলস ও সৎ পরিশ্রম থাকলে কিছুটা সুখ অবশ্য পাওয়া যায়।
৳ 300.00